SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - সংবিধান | NCTB BOOK

সংবিধান প্রণয়নের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে । তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্ধতিগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
১. অনুমোদনের মাধ্যমে: জনগণকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অতীতে প্রায় সব রাষ্ট্রেই স্বেচ্ছাচারী শাসক নিজের ইচ্ছানুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করত। এতে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয় । জনগণকে শান্ত করার জন্য এবং তাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একপর্যায়ে শাসক সংবিধান প্রণয়ন করেন। যেমন- ১২১৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা জন ‘ম্যাগনাকার্টা' নামে অধিকার সনদ স্বাক্ষরে বাধ্য হন । এটি ব্রিটিশ সংবিধানের এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে ।

২. আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে: সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত গণপরিষদের সদস্যদের আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান রচিত হতে পারে। ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে । বাংলাদেশের সংবিধানও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গণপরিষদ কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রণীত হয় ।

৩. বিপ্লবের দ্বারা: শাসক যখন জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণ নিহিত নয় এমন কাজ করে অর্থাৎ শাসক স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হয়, তখন বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসকের পরিবর্তন ঘটে। নতুন শাসকগোষ্ঠী শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে নতুন সংবিধান তৈরি করে। রাশিয়া, কিউবা, চিনের সংবিধান এ পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে ।

৪. ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে: বিবর্তনের মাধ্যমে সংবিধান গড়ে উঠতে পারে। যেমন- ব্রিটেনের সংবিধান ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে লোকাচার ও প্রথার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধান কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণয়ন করা হয় না, ধীরে ধীরে গড়ে উঠে। তাই বলা হয়, ব্রিটিশ সংবিধান তৈরি হয়নি, গড়ে উঠেছে।